ইরানের বিরুদ্ধে পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই একতরফা যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। বিশ্লেষকেরা হিসাব করে দেখেছেন, গত ১৩ জুন শুরু করা এই যুদ্ধে ইসরায়েলের ব্যয় দৈনিক প্রায় ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলার। আর এর বেশির ভাগ অংশই ব্যয় হচ্ছে মূলত ইরানি হামলা ঠেকাতে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন...
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা ও ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ভেবেছেন, ইরানে হামলা করে গাজা থেকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি সরিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু তিনি সতর্ক করে বলেছেন, বিশ্ববাসী নেতানিয়াহুর ওপর নজর রাখছে।
ইরানে এবারের হামলা শুরুর কারণ হিসেবে দেশটির পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে দায়ী করেছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁর ভাষায়, ‘ইরানকে থামানো না হলে খুব কম সময়ের মধ্যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে ফেলতে পারে। এটা এক বছরের মধ্যে হতে পারে। কয়েক মাসেও হতে পারে।’
ইরানের বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছে ইসরায়েল। দেশটি বলছে, ইরান নাকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা করেছে।
নেতানিয়াহু বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলায় অংশ নেন বা না নেন, তার তোয়াক্কা না করেই ইসরায়েলের ক্ষমতা রয়েছে ইরানের সব পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করার। নেতানিয়াহু এই কথা এমন এক সময়ে বললেন, যখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি এতে যুক্ত হবেন কি...
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইরানে নেতৃত্ব পরিবর্তন বা সরকারের পতন ইসরায়েলের হামলার উদ্দেশ্য নয়। তবে সেটি একটি সম্ভাব্য পরিণতি হতে পারে, অর্থাৎ, ইরানে সরকার পরিবর্তন হলে মন্দ হয় না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরান কোনো হুমকির সামনে মাথানত করবে না। পাশাপাশি কারও চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ বা শান্তিও মেনে নেবে তাঁর দেশ। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান আক্রমণ না করার বিষয় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে আছেন কি না—তা নিয়ে মিশ্র বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। প্রকাশ্যে ট্রাম্প প্রশাসন আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা বলছে।
ইরানে হামলা শুরুর পর থেকেই নানাভাবে সরকার পরিবর্তনের কথা বলছে ইসরায়েল। এমনকি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানিদের সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকেই ইরানের শাসন পরিবর্তনের আলোচনা জোরালো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যখন উত্তেজনা চরমে, তখন কূটনৈতিক বার্তা দিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত দিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। সোমবার রাতে টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যিই যুদ্ধ থামাতে চান, তবে ওয়াশিংটন থেকে একটি ফোনকলই যথেষ্ট নেতানিয়
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের কেবল শুরু। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস ও সামরিক বাহিনীকে পঙ্গু করে দিতে ‘যত দিন লাগবে’ ইসরায়েল তত দিন আঘাত হানতে থাকবে। এটি প্রাথমিকভাবে কয়েক সপ্তাহ হতে পারে। ইরান এরই মধ্যে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েলের
তেহরানের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা এখন জয়ের পথে।’
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করার ঘোষণা দিয়ে গত শুক্রবার ভোর থেকে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। তবে অনেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য ইরানের খামেনিদের শাসনের অবসান ঘটানো। একই কথা বলেছেন, ইরানে পতিত পাহলভি রাজবংশের সর্বশেষ শাসক রেজা শাহ পাহলভির ছেলে রেজা পাহলভি।
ইরানে হামলা শুরুর সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইরানের যে পারমাণবিক সক্ষমতা রয়েছে, তা হুমকির। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করতেই তারা শুক্রবার ভোর থেকে হামলা চালাচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইরানের আয়াতুল্লাহ খামেনির শাসনব্যবস্থার ‘প্রতিটি স্থাপনা ও প্রতিটি লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালাবে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চলমান বিমান হামলার প্রেক্ষাপটে ‘ইরানি নেতারা পালানোর জন্য এখন ব্যাগ গোছাতে শুরু করেছেন।’ আজ শনিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ দাবি করেন।
আপাতদৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলার লক্ষ্য ছিল তেহরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে পঙ্গু করা এবং দেশটির শাসন ব্যবস্থাকে দুর্বল করা। তবে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এই বেপরোয়া পদক্ষেপ অভ্যন্তরীণ এবং